🌿 অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠান
🎤 সহকারী শিক্ষক হিসেবে বক্তব্য
উপলক্ষ্য: বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক
জনাব মোঃ শামসুদ্দীন মহোদয়ের চাকরি জীবনের অবসর উপলক্ষে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সম্মানিত সভাপতি মহোদয়,
প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,
স্নেহভাজন শিক্ষার্থীবৃন্দ,
এবং আজকের অনুষ্ঠানের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব—
আমাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুদ্দীন মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লাহ।
আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ দিন—
একদিকে গর্বের, অন্যদিকে গভীর আবেগের।
কারণ, আজ আমরা বিদায় জানাতে যাচ্ছি এমন একজন মানুষকে,
যিনি শুধু একজন শিক্ষক নন,
আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিহাসের সূচনা যাঁর হাত ধরেই হয়েছিল—
বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুদ্দীন মহোদয়।
স্যারের নেতৃত্বে এই বিদ্যালয় আজ একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট-পাথরের সাথে জড়িয়ে আছে তাঁর পরিশ্রম, ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের গল্প।
তাঁর পিতা, জনাব মরহুম আলহাজ্ব মোঃ জবেদ আলী—
নিজ হাতে এই বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছেন।
এই মহান দান শুধু একটি ভবন নয়,
বরং জ্ঞানের আলো ছড়ানোর একটি স্থায়ী ভিত্তি স্থাপন করেছে।
আমরা তাঁদের উভয়ের প্রতিই গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
জনাব মোঃ শামসুদ্দীন মহোদয় ছিলেন দায়িত্বশীল, সময়নিষ্ঠ ও কর্মনিষ্ঠ এক আদর্শ প্রধান শিক্ষক।
তিনি অপ্রয়োজনে বিদ্যালয়ের বাইরে যেতেন না,
এমনকি প্রধান শিক্ষক হয়েও নিয়মিত ক্লাস নিতেন।
এ থেকেই বোঝা যায়—
তিনি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষা পেশাকে ভালোবেসেছিলেন হৃদয় থেকে।
স্যারের আচরণে আমরা পেয়েছি শালীনতা, শৃঙ্খলা ও ভালোবাসার মিশ্রণ।
তাঁর পরামর্শে আমরা শিখেছি—
“শিক্ষকতার আসল পরিচয় দায়িত্বে, নিষ্ঠায় ও কর্মে।”
স্যার,
আজ আপনি অবসর নিচ্ছেন,
কিন্তু আপনার শিক্ষা, নীতিবোধ, সততা ও দৃষ্টান্ত আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবে।
আমরা দোয়া করি—
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও শান্তিপূর্ণ অবসর জীবন দান করুন।
আর আপনার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মোঃ জবেদ আলীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
শেষে শুধু একটাই কথা—
আপনি শুধু একজন প্রধান শিক্ষক নন,
আপনি এই বিদ্যালয়ের ইতিহাসের অংশ, আমাদের হৃদয়ের অমূল্য সম্পদ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আসসালামু আলাইকুম।