Wednesday, December 29, 2021

মাদক থেকে বাঁচার উপায়। পর্ব ০১

ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা :
এটাই হল এর প্রধান চিকিৎসা। একমাত্র খোদভীতিই মানুষকে এ শয়তানি খপ্পর থেকে মুক্তি দিতে পারে। পরকালে জবাবদিহিতা এবং জাহান্নামের কঠিন শাস্তির ভয় মানুষকে মাদকের কুফল থেকে দূরে রাখতে পারে। 
প্রশাসনিক প্রতিরোধ : নৈতিক উপদেশের পাশাপাশি প্রশাসনিক প্রতিরোধ অবশ্যই জরুরি। এটিও দুভাবে হতে পারে।

এক : রাষ্ট্রীয়ভাবে- যেমন, ধূমপান মাদক এবং জুয়ায় অভ্যস্থদের সার্ভিস বুকে লাল কালি মেরে রাখা। যাতে তাদের প্রমোশন আটকে থাকে। এ জন্য নবীজি (সা.)-এর আমলের প্রথমদিকে মদ্যপায়ীকে সর্বসমক্ষে হাত দিয়ে, খেজুরের ডাল দিয়ে বা জুতা দিয়ে মারতে বলতেন। তিরস্কার ও নিন্দা করতে বলতেন, যাতে সে লজ্জিত হয় এবং ভীত হয়। মদের পাত্রগুলো ভেঙে ফেলা হতো। মদ তৈরি করা ও আমদানি করা সব বন্ধ করে দেয়া হতো। মদ তৈরির সব সরঞ্জাম ধ্বংস করে জ্বালিয়ে দেয়া হতো।

পরে আবুবকর (রা.)-এর আমলে ৪০টি বেত বা দোররা এবং উমর ফারুকের (রা.) খিলাফতকালে ৮০টি বেত বা দোররা মারার বিধান জারি করা হল। সেই আলোকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই মদ জুয়া হাউজি ঘোড়দৌড়ের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিয়ে সংবিধানে তা সন্নিবেশিত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে রাষ্ট্রর নির্বাহী বিভাগ থেকে কঠোর ভূমিকা নেয়া হচ্ছে এখন বিচার বিভাগকেও এর বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। প্রশাসনকে নতুন করে মদের লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এর উৎপাদন আমদানি বিপণন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
দুই : সামাজিক প্রতিরোধ- মানুষ সামাজিক জীব। তাকে সমাজে বসবাস করতে হয়। যে সমাজে সে বসবাস করে, সে সমাজের লোকেরা তাকে দরদ দিয়ে এর নেতিবাচক দিক নিয়ে বুঝাবে যদি এরপরও সে মাদকে অভ্যস্থ থাকে তবে সামাজিক বয়কট ও ঘৃণা প্রকাশ করবে, তাহলে সে লোকলজ্জার ভয়ে হলেও এ বদভ্যাস ত্যাগ করবে।
এ কারণেই মদ্যপায়ীর শাস্তি নবীজি (সা.) জনসমক্ষে দিতেন। এটি শুরু করতে হবে পরিবার থেকে যেহেতু পরিবারই সমাজের প্রথম ইউনিট। পরিবার ব্যর্থ হলে সমাজের ওপর তার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে যাতে যে নেশাখোর এবং অসামাজিক লোকদের দলে ভিড়ে না যায়। আমরা যদি দরদের সঙ্গে সবাইকে নিয়ে মাদক এবং জুয়ার বিরুদ্ধে এগোতে পারি তাহলে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ে উঠবে।
মূল লেখক : মইন চিশতি, প্রাবন্ধিক ও ধর্মচিন্তক

Monday, December 27, 2021

হতাশ হবেন না- আশা রাখুন

শীঘ্রই তোমার রব; তোমাকে এত বেশি দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে! [সূরাঃ আদ্ব-দোহা, ০৫]
"হতাশ হয়ো না। উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"
--সূরা ত্বলাক : ৭
"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
--সূরা ইনশিরাহ : ৬
"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"
--সূরা বাক্বারা : ২১৪
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৭
"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"
--সূরা বাক্বারা : ২৮৬
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৫
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৩
"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"
--সূরা মারইয়াম : ৪
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন--
"মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার প্রতিটা অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর এটা কেবল মুমিনের জন্যই নির্ধারিত, অন্য কারো জন্য নয়। মুমিনের কাছে সুখের কিছু এলে শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। অনুরূপভাবে যখন কোনো দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্যধারন করে। আর এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।"
--সহীহ মুসলিম : ২৯৯৯
অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়। 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।' (আমি সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি।)🌼

Sunday, December 26, 2021

যে ৭টি কথা সন্তানকে প্রতিদিন বলতে হবে।

১. নিজের সন্তানকে প্রতিদিন অন্তত একবার করে বলুন ‘তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে। তাকে বিশ্বাস করে ছোট খাটো কিছু দায়িত্ব পালন করতে দিন। তাহলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে আপনাকে আরো বেশি ভালোবাসবে।

২) সন্তানকে প্রতিদিন একবার করে হলেও বলুন সে যেন হাল ছেড়ে না দেয়। প্রতিটি কাজেই তাকে উৎসাহ দিন এবং হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতে মানা করুন। তাকে বলুন ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেলেই সাফল্যের দেখা পাবে সে।

৩) কোনো কিছু না পারলে তাকে বকাঝকা না করে আরো বেশি অনুশীলন করতে বলুন। তাকে সবসময়েই এটা বলুন যে বার বার অনুশীলন করলেই সে ‘পারফেক্ট’ হতে পারবে।

৪) প্রতিটি ‘এক্সপার্ট’ মানুষই একসময়ে আনাড়ি ছিলো। এই কথাটি আপনার সন্তানকে প্রতিদিনই বুঝিয়ে বলুন। এতে সে যে কোনো কাজে সাহস পাবে।

৫) ব্যর্থতা কোনো অপরাধ নয় এটা আপনার সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন। আপনার সন্তান কখনো ব্যর্থ হলে তাকে বকাঝকা না করে ব্যর্থতা কে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলুন।

৬) জীবনে প্রতিটি দিন ভালো না যেতে পারে । ভূল সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য সন্তানকে উৎসাহিত করুন। 
আপনার সন্তানকে প্রতিদিনই জানিয়ে দিন তাকে আপনি কত ভালোবাসেন।

৭) পরিবার হলো সবচাইতে নিরাপদ যায়গা এবং পরিবার আপনার সন্তানকে কতটা ভালোবাসে সেকথা তাকে জানিয়ে দিন। এতে সে নিজেকে নিরাপদ ভাববে এবং পরিবারের প্রতিও সে ভালোবাসা দেখাবে।
 

জেনে নিই দিনাজপুরের ১৩ থানার ইউনিয়ন গুলোর নাম:

#আসুন পরিচিত হই নিজ নিজ ইউনিয়নের নাম কমেন্ট করি।
১. সদর>>>
১নং চেহেলগাজী
২নং সুন্দরবন
৩নং ফাজিলপুর
৪নং শেখপুরা
৫নং শশরা
৬নং আউলিয়াপুর
৭নং উথরাইল
৮নং শংকরপুর
৯নং আস্করপুর
১০নং কমলপুর
২. বিরল 
০১নং আজিমপুর
২নং ফরক্কাবাদ
৩নং ধামইর
৪নং শহরগ্রাম 
৫নং বিরল
৬নং ভান্ডারা 
৭নং বিজোরা
৮নং ধর্মপুর
৯নং মঙ্গলপুর
১০নং রানীপুকুর
১১নং পলাশ বাড়ি
৩. বোচাগঞ্জ 
১ নং নাফানগর
২ নং ইশানিয়া
৩ নং মুশিদহাট
 ৪ নং আটগাঁও
৫ নং ছাতইল
৬ নং রণগাঁও
৪. কাহারোল
১নং ডাবর
২নং রসুলপুর
৩নং মুকুন্দপুর
৪নং তারগাঁও
৫নং সুন্দরপুর
৬নং রামচন্দ্রপুর
৫ বীরগঞ্জ 
১নং শিবরামপুর
২নং পলাশবাড়ী
৩নং শতগ্রাম
৪নং পাল্টাপুর
৫নং সুজালপুর
৬নং নিজপাড়া
৭নং মোহাম্মদপুর
৮নং ভোগনগর
৯নং সাতোর
১০নং মোহনপুর
১১নং মরিচা
৬ ঘোড়াঘাট 
০১ নং বুলাকিপুর
০২নং পালশা
০৩ নং সিংড়া
০৪ নং ঘোড়াঘাট
৭. হাকিমপুর 
১নংখট্টামাধবপাড়া
২নং বোয়ালদাড়
৩নং আলীহাট
৮. পার্বতীপুর 
০১নং বেলাইচন্ডি
০২নং   মন্মথপুর
০৩ নং  রামপুর
০৪ নং  পলাশবাড়ী
০৫ নং  চন্ডিপুর
০৬ নং মোমিনপুর
 ০৭ নং মোস্তফাপুর
০৮ নং হাবড়া 
০৯ নং  হামিদপুর
১০ নং হরিরামপুর
৯. বিরামপুর 
১নং মুকুন্দপুর
২নং কাটলা
৩নং খানপুর
৪নং দিওড়
৫নং বিনাইল
৬নং জোতবানী 
৭নং পলিপ্রয়াগপুর
১০. খানসামা 
১নং আলোকঝাড়ী
২নং ভেড়ভেড়ী
৩নং আঙ্গার পাড়া
৪নং খামার পাড়া
৫নং ভাবকী
৬নং গোয়ালডিহি
১১. চিরিরবন্দর 
০১নং নশরতপুর
২নং সাতনালা
৩নং ফতেজং পুর
০৪নং ইবস পুর
০৫নং আব্দুল পুর
০৬নং অমর পুর
৭নং আউলিয়াপুকুর
০৮নং সাইতাড়া
০৯নং ভিয়াইল
১০নং পুনট্টি
১১নং তেতুলিয়া
১২নং আলোকডিহি
১২. ফুলবাড়ী 
1নং এলুয়াড়ী
২নং আলাদীপুর
৩নং কাজিহাল
৪নং বেতদীঘি
৫নং খয়েরবাড়ী
৬নং দৌলতপুর
৭নং শিবনগর
১৩. নবাবগঞ্জ 
১নং জয়পুর
২নং বিনোদনগর
৩ নং গোলাপগঞ্জ
৪নং শালখুরিয়া
৫নং পুটিমারা
৬নং ভাদুরিয়া
৭নং দাউদপুর।
৮নং মাহমুদপুর।
৯নং কুশদহ।

নিজের ভিতরটাকে সুন্দর করার কিছু চর্চা এমন হতে পারে --


১. সবসময় সবাইকে নিয়ে ভালো চিন্তা করা. উপযুক্ত প্রমান ছাড়া কাউকে খারাপ ভেবে না বসা. সাহাবীদের সময় একবার এক সাহাবী যখন দেখলেন আরেকজন সাহাবীর দাড়ি থেকে মদের ফোঁটা বেয়ে বেয়ে পড়ছে, সে তাকে প্রথমেই দোষ না দিয়ে ভাবলেন, হয়তো তার সাথে কারো ঝগড়া হয়েছে, এর ফলে রাগ করে কেউ তার দিকে মদের গ্লাস ছুড়ে মেরেছে। সেখান থেকেই ফোঁটা বেয়ে বেয়ে পড়ছে। 
.
.
২. নিয়তেই বরকত! প্রতিনিয়ত নিজের নিয়তকে চেক করা. আমি এই কাজটা কেন করছি? কাকে খুশি করার জন্যে করছি? কেউ যদি সত্যি কোনো কাজ আন্তরিক ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে করে - তাহলে সেই কাজে খুব উঁচু মানের কোয়ালিটি থাকবে! একটা সিম্পল নিয়ত করলে যে কোনো কাজ বরকতপূর্ণ হয়ে যায়।
.
যেমন কেউ যদি ঘুমানোর আগে এই নিয়ত করে ঘুমায় যে, "হে আল্লাহ! আমি এই ঘুমের মাধ্যমে যে কর্মশক্তি আর তেজ পাবো, সেটা দিয়ে যেন ঘুম থেকে উঠে যেন আরো ভালোভাবে তোমার ইবাদাত করতে পারি।" তাহলে পুরা ঘুমটাই তার জন্যে ইবাদাত হবে এবং সে যতটা সময় ঘুমাযে তার জন্যে নেকী পেতে থাকবে! সুবহানাল্লাহ ঘুমানোর জন্যেও পুরস্কার!
.
.
৩. অপ্রয়োজনীয় কথা-আলাপে মশগুল না হওয়া। কেউ কথা বলার সময় তাকে কথার মাঝে cut-off না করা (বিঘ্ন না ঘটানো)! শেইখ বলেন, "কেউ কথা বলতে থাকলে কখনো তাকে মাঝখানে কাট করে দিয়ে নিজের কথা বলা শুরু করে দিও না. কারণ, যে কথা বলছে সে যদি জ্ঞানী হয়, তাকে শুনতে থাকো, তোমার জ্ঞান বাড়বে! 
.
আর যে কথা বলছে, সে যদি মূর্খ হয় তাকে শুনতে থাকো - তোমার ধৈর্য্য বাড়বে! নিশ্চয়ই তোমার ধৈর্য্য অর্জন করা জ্ঞান অর্জন করার থেকে বেশি জরুরি!"
.
.
৪. নিজের সমালোচনা শুনলে ক্ষুব্ধ না হওয়া! আসলেই চিন্তা করে দেখা - আমার মাঝে কি আসলেই এই ভুল আছে? ইমাম শাফি'ই (রা:) একবার ভরা সমাবেশে ক্লাস করাচ্ছিলেন। তখন এক লোক হুড়মুড় করে তার ক্লাসে ঢুকে গেলেন। 
.
তার দিকে আঙ্গুল তুলে বললেন, "তুমি কি ইমাম শাফি'ই?". ইমাম বললেন, "জ্বী, আমি শাফি'." তখন লোকটি সবার সামনে চেঁচিয়ে ইমামকে বললেন, "তুমি একটা ফাসিক, কাফির এবং জঘন্য প্রকৃতির লোক!" 
.
ইমাম চুপ করে শুনলেন। শুধু সমালোচনা না, তাকে সবার সামনে খুব খারাপ ভাবে অপমান করা হয়েছে! তিনি অফেন্ডেড তো হলেনই না, বরং এর উত্তরে তৎক্ষনাৎ দুই হাত তুলে সবার সামনে দুআ করলেন, 
.
"হে আল্লাহ! এই ব্যক্তি যদি সত্য বলে থাকেন, তাহলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমার উপর দয়া করো এবং আমার তাওবা কবুল করে নাও! আর যদি এই ব্যক্তি যা বললেন, সেটা যদি সত্য না হয়, তাহলে তার এ আচরণের জন্যে তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তার উপর দয়া করো এবং তার তাওবা কবুল করে নাও!"
.
.
৫. প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সবাইকে মাফ করে দিয়ে অন্তর পরিষ্কার করে ঘুমানো
.
.
৬. কোনো ব্যাপারে অন্তরে অহংকার ঢুকে যাচ্ছে কি না চেক করা. যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ-ও পাবে না (সহীহ হাদিস)
.
.
৭. যদি কারো উপর হিংসা হতে থাকে, সেই ব্যক্তির নাম ধরে তার সাফল্যের জন্যে বেশি বেশি দুয়া করা. এটাকে অনেক স্কলার হিংসার সর্বোত্তম চিকিৎসা বলেছেন। একটা উদাহরণ দেই, ধরেন ক্লাসে আব্দুল্লাহ অনেক ভালো রেজাল্ট করলো, এতে উমরের হিংসা হচ্ছে। উমর কন্ট্রোল করতে পারছে না।
.
তার মনে এটা নিয়ে কষ্ট লেগেই আছে যে, তার বন্ধু তার থেকে এতো ভালো অবস্থানে আছে, অথচ সেও তো অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তার কেন উন্নতি হচ্ছে না? উমর সেই দিন থেকে বেশি বেশি আব্দুল্লাহর জন্যে দুয়া করতে থাকলো, আল্লাহ যেন আব্দুল্লাহকে আরো বেশি সাফল্য দেন, রহমত এবং বরকত দেন! 
.
আলহামদুলিল্লাহ দুয়া করতে করতে কয় মাসের মধ্যেই উমরের অন্তর থেকে হিংসা দূর হয়ে গেলো। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা উমর এবং আব্দুল্লাহ দুইজনকেই সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো অবস্থানে যাবার তাওফিক দিলেন।
.
.
৮. নিজের ভুল/গুনাহ -র একটা লিস্ট বানানো। নিজের ভুল নিয়ে বেশি ব্যতিব্যস্ত থাকা, যেন অন্যের ভুল নিয়ে গল্প/গীবত করার কোনো সুযোগ না থাকে।
.
.
৯. এমন কোনো কথা কারো পিছনে কখনো না বলা, যেটা সে যদি সামনে থাকতো, তাহলে তার সামনে কখনোই বলা যেত না. এটাই গীবতের ক্লাসিক সংজ্ঞা! গীবত মৃত ভাইয়ের মাংস খাবার মতন জঘন্য গুনাহ (কুরআন: সুরাহ হুজুরাত)
.
.
১o. রাস্তার মধ্যখানে কখনো ময়লা না ফেলা! আমার স্বামীকে দেখতাম সে দেশে গেলে একটা ব্যাগ নিয়ে ঘুরতো। বলতো, দেশে তো সব জায়গায় ময়লা ফেলার ঝুড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না. সারাদিনের ময়লা সে তার ঐ ব্যাগে রাখতো। ঘরে এসে ময়লার বিনে ফেলে দিতো।
.
.
১১. বড় - ছোট সবাইকে নিয়ে ভালো চিন্তা করা. যারা আমাদের থেকে বয়সে বড়, তারা আমাদের থেকে বেশি বছর ধরে বেঁচে আছেন, কাজেই তারা আমার থেকে বেশি নেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। আবার যারা আমাদের থেকে বয়সে ছোট, তারা আমাদের থেকে কম গুনাহ করার সুযোগ পেয়েছে। কাজেই বড় হোক, ছোট হোক - সবাই আমার থেকে ভালো। কারো সাথে তুলনা করে যেন আমার নিজের মধ্যে অহংকার না আসে।
.
আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আমাদের ভিতর-বাহির সব সুন্দর রাখুক।আমাদেরকে উত্তম চরিত্রের হবার তাওফিক দিন। আমিন
( সংগৃহীত) 

Saturday, December 25, 2021

সংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮

১ নভেম্বর ১৯থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’। বহুল আলোচিত এই আইনটি প্রণয়নের এক বছরেরও বেশি সময় পর এটি বাস্তবায়ন শুরু হলো। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে এতদিন আইনটি বাস্তবায়নে যায়নি সরকার।
২২ অক্টোবর আইনটি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে গেজেট জারি করে সরকার। 
১. সড়কে গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
২. সড়কে প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালালে ও দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
৩. আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
৪. মোটরযান দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা প্রাণহানি হলে চালকের শাস্তি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা।
৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ি চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
৬. নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
৭. ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার এবং প্রদর্শন করলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৮. ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
৯. ট্রাফিক সংকেত মেনে না চললে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
১০. সঠিক স্থানে মোটর যান পার্কিং না করলে বা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে
১১. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
১২. একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং একপর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে
১৩. গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত ভাড়া, দাবি বা আদায় করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
১৪. আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে চালককে অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
১৫. গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। এই বিধান আগেও ছিল।
১৬. এ ছাড়া সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
চলবে....

Friday, December 24, 2021

Classroom Management

Class room management : 

1. Use meta language,  such ad gesture,  eye 

2. contact and miming etc....

3. Admit your ignorance 

4. Be explicit 

5. Use body language 

6. Use pair work/ group work to increase 

students talking time

7. Don’t be afraid of silence /noise

8. Keep your language minimum when students are working 

9. Vary your voice 

10. Use pauses to clarify what you say

11. Arrange the seating to help the learners

12. Stand up when you are directing activity

13. Look at the students / keep eye on the students / make eye contact 

14. Use your hands to encourage and direct the students 

শাকসবজীর গুণাগুণ। ডা মশিউর রহমান

করোনা কালীন সময়ে প্রতি শুক্রবার আমি শিশুখাদ্য,শিশু রোগ,শিশু স্বাস্থ্য ও শিশু যত্ন  নিয়ে লিখি এবং লিখবো ইনশাআল্লাহ 
আজকের বিষয়ঃপর্ব ৮=শাকসবজী 

সুস্থ ও সবলচিত্ত থাকতে শাকসবজি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। শাকসবজী বেশি করে খাওয়া সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থগুলো র  বিকল্প নাই।আর সব গুলো পাওয়া যাবে সবুজ শাকসবজী তে।

পালংশাকঃ প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা কমায়।কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন-এ বি সি ই থাকে। তাই চোখ ভাল রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

লালশাকঃভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ার চোখ ভাল রাখে।রক্তস্বল্পতা দুর করে। 

কচু শাকঃ আয়রন ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও রক্তস্বল্পতা কমায়। 

টোমেটোঃ প্রবাদ আছে প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে রোগ বালাই কাছে আসতে পারে না। ভিটামিন-এ থাকায় দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখে।ভিটামিন-সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য উপরকারী। থায়ামিন হার্টকে ভালো রাখে। আয়রন ও ম্যাংগানিজ আছে। সালাদ,ভর্তা ভাজি ও তরকারি হিসেবে খাওয়ার যায়। 

গাজরঃ অত্যান্ত পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ একটা খাদ্য।প্রচুর ক্যারোটিন ও ফসফরাস থাকায় মস্তিষ্ক ও হার্ট কে ভালো রাখে। হালুয়া পায়েস চপ ও বড়া হিসাবে খাওয়া যায়।

ফুল কপি ও বাধা কপিঃ মায়ের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন থাকায় কোলেস্টেরল কমায় ফলে হার্টকে সুস্থ রাখে। এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দুর করে। বাধা কপি শিশু র  রিকেট প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 
আয়োডিন থাকায় গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ এ সাহায্য করে। ফুল কপি মাছের তরকারি, পোকড়া হিসাবে রান্না করে খাওয়া যায়। সিংড়া ফুলরি খুবই সুস্বাদু। 

শিমঃশক্তিদায়ক একটা খাবার।শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইবার ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম থাকে। 

করোলাঃডায়াবেটিক রোগীদের মহা ঔষুধ। ক্ষিদা বাড়ায় ও কৃমি নাশক।ভিটামিন-এ সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও চোখ ভাল রাখে।

বেগুনঃ বাচ্চাদের ক্ষিদা বাড়ায়। আয়রন কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট ও প্রোটিন আছে। 

পটলঃহার্টের শক্তি বাড়ায়। কোলেস্টেরল কমায় ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। 

মুলাঃ ভিটামিন-এ বি সি  ক্যালসিয়াম ফাইবার ও প্রচুর পানি আছে। রুচি বর্ধক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। 

লাউঃ ডালের সাথে রান্না করা যায়। পায়েস হালুয়া ও মোরাব্বা তৈরী করা যায়। এতে আছে ভিটামিন-সি বি আয়রন, চর্বি ও ফ্যাট। কোষ্টকাঠিন্য দুর করে।শরীর ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে।

মিষ্টি কুমড়াঃ প্রচুর ভিটামিন-এ থাকায় রাত কানা দুর করে।স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ সাহায্য করে। 

ঢেড়সঃ আয়োডিন থাকায় গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ভিটামিন-এ ক্যালসিয়াম ও আয়রন আছে।

কাচা কলাঃ এটা রোগীর পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়।ডায়রিয়ায় ও আমাশয় ভালো কাজ করে। 

আলুঃ এতে আছে ভিটামিন-এ সি,প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালসিয়াম।মাছ গোশত র তরকারী হিসাবে ব্যাবহার করা যায় এছাড়া ভর্তা, কাবাব ও চাটনি হিসাবেও সুস্বাদু। 

লাইক কমেন্ট করবেন, প্রশ্ন করবেন  ও শেয়ার করুন।
দোয়া করবেন। 
ধন্যবাদ। 
ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান 
শিশু বিশেষজ্ঞ 
রোগমুক্তি ক্লিনিক গোলকুঠি দিনাজপুর 

পারিবারিক বাগান। গাছ-০১

দা মিরাকল অফ মরনিং / ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত

ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত।এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ্
১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী,কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর!__(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪...মুসলিম--৬৬১)
২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।__(সহিহ মুসলিম,তিরমিজি--২১৮৪)
৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে,আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।__(বুখারী-মুসলিম)
৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!__(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)
৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।__(আবু দাউদ --৪৯৪,,,,তিরমীযি)
৬.যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।__(বুখারী-৫৭৩)
৭.যে নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে,সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।__(সহিহ মুসলিম ৬৩৪) 
৮.ফজরের সালাত আদায়কারী,রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।__(সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)
৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।__(জামে তিরমিজি - ৪১৬)
১০..ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়।__(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
সুবহানআল্লাহ......আল্লাহর আমাদের উপরোক্ত সব নিয়ামতের ভাগীদার করুন।