১. ছোট ছোট সাফল্যের সুযোগ দেওয়া
সহজ কাজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে কঠিন কাজের দিকে নিয়ে যান। এতে শিক্ষার্থীর মনে “আমি পারি” বিশ্বাস জন্মায়।
২. প্রশংসা ও স্বীকৃতি দেওয়া
শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টা, অগ্রগতি ও ছোট সাফল্যগুলো প্রশংসা করুন। এতে তারা উৎসাহ পায়।
৩. ভুলকে শেখার অংশ হিসেবে দেখা
ভুল করলে বকাঝকা না করে বোঝান—ভুল হলো শেখার ধাপ। এতে ভয় কমে যায়।
৪. অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা
প্রশ্ন করা, দলগত কাজ, নাটিকা বা খেলায় অংশ নিতে উৎসাহ দিন। অংশগ্রহণ আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৫. ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা
শ্রেণিকক্ষে এমন পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে সবাইকে সম্মান করা হবে এবং কেউ কাউকে হাসাহাসি করবে না।
৬. গল্প ও উদাহরণ ব্যবহার করা
সাহসী, সফল ও আত্মবিশ্বাসী মানুষের গল্প বলুন। শিশুরা এসব গল্প থেকে অনুপ্রেরণা নেয়।
৭. দায়িত্ব দেওয়া
ছোট ছোট দায়িত্ব যেমন বই আনা, ব্ল্যাকবোর্ড মুছা, দলের নেতৃত্ব দেওয়া ইত্যাদি দায়িত্ব দিলে তারা গুরুত্ববোধ পায়।
৮. প্রশ্ন করতে উৎসাহ দেওয়া
শিক্ষার্থীদের বলুন—প্রশ্ন করা বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। এতে তারা খোলামেলা হতে শেখে।
৯. ধাপে ধাপে শেখানো
কোনো বিষয় একসাথে না শিখিয়ে ধাপে ধাপে শেখান। প্রতিটি ধাপ শেষে ছোট সাফল্য শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
১০. শিক্ষকের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা
শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক আচরণ তাদের মনে নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস জাগায়।
📌 সংক্ষেপে: আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মূল কৌশল হলো—শিক্ষার্থীকে ছোট ছোট সাফল্য উপহার দেওয়া, ভুলকে শিক্ষার অংশ বানানো, এবং ভালোবাসা দিয়ে উৎসাহিত করা।
No comments:
Post a Comment